ইলেকট্রনিক্স এর কাজ শিখতে গেলে ইলেকট্রনিক্সের কোন কোন কম্পনেন্ট সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে
ইলেকট্রনিক্স কাজ শিখতে হলে নিম্নলিখিত কম্পোনেন্টগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানা গুরুত্বপূর্ণ:
রেজিস্টর (Resistor): সার্কিটে বিদ্যুতের প্রবাহ সীমাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়। রেজিস্টরের মান ও তার ব্যবহার বুঝতে হবে।
ক্যাপাসিটর (Capacitor): বিদ্যুৎ সঞ্চয় করে রাখে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রিলিজ করে। ক্যাপাসিটরের প্রকারভেদ ও তাদের প্রয়োগের ক্ষেত্রে জ্ঞান থাকা দরকার।
ইনডাক্টর (Inductor): এটি চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে এবং সার্কিটে পরিবর্তিত বিদ্যুৎ প্রবাহের প্রতিরোধ করে। এর বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে।
ডায়োড (Diode): বিদ্যুৎ প্রবাহকে একদিকে যেতে দেয় এবং বিপরীত দিকে আটকায়। ডায়োডের প্রকারভেদ যেমন PN junction diode, Zener diode ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
ট্রানজিস্টর (Transistor): এটি এম্প্লিফায়ার বা সুইচ হিসেবে কাজ করে। ট্রানজিস্টরের বিভিন্ন প্রকারভেদ (BJT, FET) ও তাদের কাজ বুঝতে হবে।
IC (Integrated Circuit): এটি একটি সম্পূর্ণ সার্কিট যা একক চিপে থাকে। IC এর বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন এবং কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দরকার।
LED (Light Emitting Diode): এটি আলো উৎপন্ন করে এবং বিভিন্ন ইন্ডিকেটর বা ডিসপ্লে সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়।
পটেনশিওমিটার (Potentiometer): এটি ভেরিয়েবল রেজিস্টর যা ভোল্টেজ বা কারেন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়।
সুইচ (Switch): সার্কিটে বিদ্যুৎ প্রবাহ চালু বা বন্ধ করতে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন ধরনের সুইচ এবং তাদের কার্যপ্রণালী সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
রিলে (Relay): এটি ইলেকট্রোমেকানিক্যাল সুইচ যা কম ভোল্টেজ দিয়ে হাই ভোল্টেজ সার্কিট নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়।
ফিউজ (Fuse): সার্কিটে অতিরিক্ত কারেন্ট থেকে সুরক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়। ফিউজের কার্যপদ্ধতি ও প্রয়োগ সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার।
সেন্সর (Sensor): বিভিন্ন ধরনের সেন্সর যেমন তাপমাত্রা, আলো, দূরত্ব ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দরকার যা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক প্রজেক্টে ব্যবহৃত হয়।
এছাড়াও সার্কিট ডায়াগ্রাম, সার্কিট ডিজাইনিং সফটওয়্যার, এবং বিভিন্ন ধরনের সার্কিট টেস্টিং টুলস সম্পর্কেও জানতে হবে। ইলেকট্রনিক্সের কাজ শিখতে গেলে এই কম্পোনেন্টগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করা উচিত।আরো বিস্তারিত জানুন
No comments